এবি ব্যাংক
১৭ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রা ঠেকাতে পুলিশের চিঠি
এবি ব্যাংকের অভিযুক্ত ১৭ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। তাদের কাউকেই খুঁজে না পেয়ে ওই চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (৩ আগস্ট) এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত এই আসামিদের বিষয়ে হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ।
১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও ওই ১৭ কর্মকর্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? গত ২৬ জুন এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি আজ বুধবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এতে বলা হয়, রাজধানীর ৭টি থানার পুলিশ আসামিদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ কারণে আসামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি কার্যাদেশ দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। কার্যাদেশসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ঋণ দেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
গতবছর জুনে কথিত এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই এমডি শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এমএ/