২২ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোর ও ময়মনসিংহের ২২ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (৩ আগস্ট) সংস্থার প্রধান সানাউল হক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
পৃথক দুই মামলার দুটি প্রতিবেদনের একটিতে ১৫ জনকে আসামি, আর অন্যটিতে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর শিগগিরই প্রতিবেদন দুটি দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সানাউল হক বলেন, যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানা ও কোতোয়ালী থানার ১৫ জনের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, ধর্ষণ ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ মামলায় জব্দ তালিকার দুইজন সাক্ষীসহ ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ১৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ৩ খণ্ডে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ডা. মো. লুৎফর রহমান (৭১), মো. খয়বার রহমান (৭০), মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম (৬৮), মো. আবুল হোসেন বিশ্বাস (৬৮), মো. আবু বকর ওরফে আবু বক্কার মোল্লা (৬৯) ও মো. হোসেন আলী মোল্যা (৭২)। অন্য নয় আসামি পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও কোতোয়ালী থানা ও নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া শহীদুল্লাহ ফকিরসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ মামলায় শহীদুল্লাহসহ গ্রেপ্তার বাকি দুই আসামি হলেন- হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া (৮০) ও মো. আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সি (৭০)। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন। তাই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এমএ/এসএন