হাজী সেলিমের জামিন আবেদন: শুনানি ২৩ অক্টোবর
দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন আপিল বিভাগ। আবেদনটির ওপর শুনানির জন্যে আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আবেদনের উপর শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। সোমবার (১ আগস্ট) এই আদেশ দেন আদালত।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সেনাসমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করে।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে কমিশন। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। রায়ে ১০ বছরের দণ্ড বহাল থাকলেও তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি।
আদেশে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চলতি বছরের ৯ মার্চ হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
গত ২২ মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে আত্মসমর্পণ করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে কারাগারে ডিভিশন ও সুচিকিৎসার আবেদন জানান। বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী জেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এরপর গত ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেছিলেন হাজী সেলিম। গত ৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নিয়মিত বেঞ্চে ১ আগস্ট (সোমবার) আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর ধারাবাহিকতায় মামলাটি আজ কার্যতালিকায় আসে এবং মামলাটি নথিভূক্ত করে শুনানির দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।
এমএ/এমএমএ/