এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দ্রুত বিচার চেয়ে রিট
প্রায় দুই বছর আগে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন সোমবার (১ আগস্ট) এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটকারির আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় করা ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এবং গত মে মাসে চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী এ রিট করার অনুমতি নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে যান এক তরুণী। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ওই রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ছয়জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এমএ/এসএন