মানবতাবিরোধী অপরাধ: খুলনার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার বটিয়াঘাটার ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে প্রত্যেককেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এটি ট্রাইব্যুনালের ৪৭তম রায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
রায়ের পর ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আসামি পাঁচ জনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। অন্যজন পলাতক রয়েছেন। মোট তিনশ পৃষ্ঠার রায় দেওয়া হয়েছে। এর সার-সংক্ষেপ পড়েন তিন বিচারপতি।
আসামিরা হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম (পলাতক)।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিন ধার্য করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলার বিচার করা হয়। অভিযোগগুলো হলো -
১. ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করে।
২. ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।
৩. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট ও অগ্নিসংযোগ করে।
৪. ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বরে আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করেন।
এমএ/আরএ/