প্রশ্ন ফাঁস: মাউশি কর্মকর্তা মিল্টন রিমান্ডে
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় সোমবার (২৫ জুলাই) তাকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকীর আদালত শুনানি নিয়ে তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।
লালবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই সুকান্ত বিশ্বাস আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী মো. আবু হানিফ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
অধিদপ্তরে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৪ জন। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ৩টায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সুমন জোয়াদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেলা ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান। এমএ/