ড. ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন

শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে বুধবার (২০ জুলাই) এ আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদেশে এ সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না- মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আদেশে মামলা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। পরে বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এ তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
জানা যায়, অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
এমএ/এসএন
