সেই নবজাতককে ৫ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় মা, বাবা ও বোনকে হারানো নবজাতককে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্ঘটনাকবলিতদের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) গঠিত কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই শিশুর অভিভাবককে ১৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ দিতে বলা হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় শিশুটির মা, বাবা ও বোন।
এর আগে তাদের নিহতের বিষয়ে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার যাবতীয় খরচ দিতে রাষ্ট্রের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী কানিজ ফাতেমার পক্ষে গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহাসিব হোসেন। রিটে দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কী সহযোগিতা করা যায় তা জানতে চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য গত শনিবার (১৬ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে যান। ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম ও স্ত্রী রত্না বেগম মারা যান। মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এ সময় ট্রাকচাপায় রত্না বেগমের গর্ভ থেকে কন্যা সন্তানটি প্রসব হয়ে যায়।
আহত সানজিদা ও নবজাতককে নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করে। নবজাতক শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। তবে অতিরিক্ত যানজটের কারণে নবজাতককে চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া এলাকায় লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নবজাতকটি বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছে।
রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অন্য দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব নম্বর সোনালী ব্যাংকের 3324101028728, ব্যাংক হিসাবটি ইউএনও এবং নবজাতক শিশুর দাদা ও দাদি পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
এমএ/এমএমএ/