করোনার ভুয়া রিপোর্ট
কোন অপরাধে কী দণ্ড হলো সাবরিনা-আরিফদের
জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট জনের প্রত্যেককে পৃথক তিন ধারায় মোট ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এই রায় দেন আদালত।
রায়ে প্রতারণার দায়ে তাদের প্রত্যেককে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।
এ ছাড়া জালিয়াতির দায়ে তাদের আরও চার বছর কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও চার মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আরেক ধারায় তাদের চার বছর করে কারাদণ্ড এবং চার হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের চার মাস কারাগারে থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
তিনটি ধারায় তাদের মোট ১১ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, এই সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে। তবে রায় ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত তাদের হাজতবাস এই দণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ডা. সাবরিনা ও আরিফসহ আট আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অন্য ছয় আসামি হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। পরে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ।
ওই বছর ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার এই মামলার রায় দেন আদালত।
এমএ/আরএ/