আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: খলিলের রায় যেকোনো দিন
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে যেকোনো দিন।
চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে সোমবার (১৮ জুলাই) এই আদেশ দেয়।
খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুই প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর পলাতক আসামি খলিলুর রহমানের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএইচ তামিম।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল ৫ জন। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকি চার আসামি হলেন-নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলার সময়ে মো.খলিলুর রহমান ছাড়া বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুই জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এমএ/এমএমএ/