জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে ডিবির অভিযোগপত্র
জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযোগপত্র আমলে নেওয়াসংক্রান্ত আদেশের জন্য ২১ জুলাই দিন ধার্য রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় এই প্রতিবেদন দিয়েছে আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার পর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে দায়িত্ব পালনকারি ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রনপ কুমার রবিবার (১৭ জুলাই) জানান, গত ২১ এপ্রিল ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামির দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন, জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আব্দুর রব, সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. ইজ্জত উল্যাহ, মো. মোবারক হোসেন, সুরা সদস্য মো. ইয়াছিন আরাফাত, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি জেনারেলের গাড়িচালক মো. মনিরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামির সমর্থক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং জানায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আ.ন. ম মুহাম্মদ সামশুল ইসলাম।
আর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. ইমাম হোসেন ও মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন প্রকার লিফলেট, জামায়াতে ইসলামির সম্পাদিত উগ্র মতবাদের বিভিন্ন বই, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার রেজিস্ট্রার ও কাগজপত্র, ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার করে। সেই রাতে ভাটারা থানায় উপ-পরিদর্শক হাসান মাসুদ বাদী তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এমএ/