নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, উপাত্ত সুরক্ষার জন্য আইন : আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা আইন উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে না জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে রবিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই সভার আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সবার জন্য মঙ্গলজনক এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দেব না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
এমএ/