ভূমি কুতুবের জামিন ঠেকাতে আপিলে দুদক
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তার ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় বিচারিক আদালতে এই দণ্ড পেয়েছিলেন কুতুব। এরপর এই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন পান তিনি। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গত ১৪ জুলাই ছয় মাসের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দের মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। গত ১৫ মার্চ নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে কুতুবের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। এরপর কয়েকবার তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। পরে হাইকোর্ট তাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে কমিশন। অভিযোগ করা হয়, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন।
শ্বশুর ও স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাস করার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুবের বিরুদ্ধে মামলা করে কমিশন। ওই মামলায় কুতুবের সঙ্গে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়।
সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কুতুব গুলশানে রাজউকের অধিগ্রহণ করা সাড়ে ১৬ শতাংশ (১০ কাঠা) জমি শ্বশুর ও অন্যদের নামে ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে আসে।
কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কুতুব ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থেকে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাজউকের সম্পত্তি অবমুক্ত করে নাজমুল ইসলাম সাইদকে জমির ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে এবং শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধাসহ আরও দুজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিজেই ১০ কাঠা জমি আত্মসাৎ করেন।
এমএ/এএস