যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভ স্থানান্তর করতে আইনি নোটিশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিরাপদ দেশে স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক সম্প্রতি বাংলাদেশের র্যাব, র্যাবের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, সন্ত্রাস দমন, মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও মানবপাচার রোধে র্যাবের অসামান্য অবদান রয়েছে। যদিও র্যাবের বিভিন্ন অপারেশন চলাকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভুল ও কিছু মানবীয় ভুলের কারণে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। তথাপি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের অসমান্য ভূমিকা রয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের অর্থ-সম্পদ ফ্রিজিং/বাজেয়াপ্ত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেকে নিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করছে তাতে ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ ফ্রিজিং/বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনটি হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের জনগণকে অবর্ণনীয় কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ ফরেন রিজার্ভ রক্ষার জন্য ন্যূনতম কিছু ফরেন রিজার্ভ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখে বাদবাকি অর্থ বিভিন্ন নিরাপদ দেশে সংরক্ষণ করতে হবে এবং স্বর্ণ আকারে রাখতে হবে।
এ ছাড়া যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি সেসব দেশের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করতে হবে। যেমন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে রেনমিনবি, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রুপি ব্যবহার করতে হবে।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে অর্থ ও পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বিবাদী করা হয়েছে।
এমএ/এমএমএ/