খালেদার দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ২১ জুলাই

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
মানহানির এই দুই মামলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন এই দিন ধার্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
তা ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত মর্মে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আর ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৯১ সালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। আর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে কেক কেটে জন্মদিন পালন করে আসছেন।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে এ মামলা করেন।
এমএ/এমএমএ/
