জামিন মেলেনি নর্থ সাউথের চার ট্রাস্টির

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। আসামিপক্ষ ও কমিশনের শুনানি নিয়ে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া চার ট্রাস্টি হলেন-রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ।
প্রসঙ্গত, কমিশন গত ২৩ মে আসামিদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে। আর আসামি পক্ষ কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেয়।
আদেশে কারাবিধি অনুযায়ী আসামিদের ডিভিশন দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেয় আদালত।
এই চার ট্রাস্টির আগাম জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে গত ২২ মে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ওইদিন তাদের শাহবাগ থানার হেফাজতে দেয় হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে কমিশন। মামলার আসামিরা হলেন-নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
মামলাসূত্রে জানা যায়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীকালে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে অর্থ পাচারের অপরাধও করেন তারা। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এমএ/এমএমএ/
