করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনা-আরিফুলদের রায় ১৯ জুলাই

জেকেজি হেলথকেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে আদালত।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করে বুধবার (২৯ জুন) আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
আদালতের আদেশের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ২০ জুন। সেদিন আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করবে, এমন সময় এ মামলার এক সাক্ষীকে জেরা করতে পারেননি বলে সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি আদালতকে বলেন।
আইনজীবী তাকে আবার জেরা করার আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে ২৯ জুন (বুধবার) তাকে জেরার দিন ধার্য করেন। আজ তাকে জেরার পর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করে। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
আর আসামিপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আসামিরা খালাস পাবেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এসব রিপোর্টের বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। পরে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। এরপর ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।
এমএ/এমএমএ/
