সব সেক্টর থেকেই টেন্ডারবাজির কমিশন পেয়েছেন মোহতেশাম: হাইকোর্ট

সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর এলজিইডিসহ এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে টেন্ডারবাজির কমিশন পাননি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
তা ছাড়া তাকে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলেও মন্তব্য করেছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করে।
সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, এ মামলায় সংঘটিত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড হলেন বাবর, যাকে আমরা রিং লিডারও বলতে পারি। তার আশ্রয়-প্রশয়ে অন্যান্য আসামিরা এই অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
পরে আদালত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার খন্দকার মোহতেশাম হোসেনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
উল্লেখ্য গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
চলতি বছরের ৭ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতবছর ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
এমএ/এমএমএ/
