ডেসটিনি: হারুনের সাজা বাড়ানো-কমানোর শুনানি একসঙ্গে

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাড়ানোর জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির জন্যে গ্রহণ করেছেব হাইকোর্ট। এদিকে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদকে নিম্ন আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড এড়াতে করা তার আবেদন শুনানির জন্য গত ৯ জুন গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট।
পৃথক এই দুই আবেদন একসঙ্গে শুনানির আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১২ জুন) এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম খান বলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেওয়া হয়েছে ১২ বছরের দণ্ড। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কম দণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজড ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকি ৪৫ জনের দণ্ড বাড়ানোর জন্যে আপিল আবেদন করা হয়েছিল হাইকোর্টে। হারুন অর-রশিদের চার বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল ও আমাদের পক্ষ থেকে ৪৫ জনের দণ্ড বাড়ানোর (দুদকের করা আপিল) ওই আবেদন শুনানি নিয়ে দুটি আপিল একত্রে শুনানির জন্যে রেখেছেন আদালত। এর আগে আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের মামলায় চার বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন-অর-রশিদ।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) হারুন-অর-রশীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে তার জামিন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন উচ্চ আদালত।
গত ১২ জুন ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১২ মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড ও সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড। এ রায়ের বিরুদ্ধে ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন তিনি। বাকিদের আপিলের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তব্যরত অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
এমএ/এমএমএ/
