এসকে সিনহার দুই সহযোগীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার দুই সহযোগী মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে তাদের খালাসের রায় বাতিল করে কেন সাজা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস পেয়েছিলেন এই দুই আসামি।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেয়। তাদের খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এই দুজনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে। এই মামলায় সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় সাবেক প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের দণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। গত ৯ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।
এই মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদেশে মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন আদালত। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেয় আদালত।
এমএ/এসএ/