রূপপুর প্রকল্প
অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত ৬ প্রকৌশলীর জামিন বাতিল কেন নয়?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট হাউজিং এস্টেট (গ্রিন সিটি) বাস্তবায়নে আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রকল্পের ছয় প্রকৌশলীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
প্রকৌশলীরা হলেন–সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তাহাজ্জুদ হোসেন, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রওশন আলী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম ও সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম।
আসামীদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এই আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
এ কে এম আমির উদ্দিন মানিক জানান, গত ১৭ জুন বিচারিক আদালত ওই ছয় প্রকৌশলীর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছিল। পরে তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, সে মর্মে আজ রুল জারি করে হাইকোর্ট।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট হাউজিং এস্টেটের (গ্রিন সিটি) আওতায় প্রতি ইউনিট ১২৫০ বর্গফুটের ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ২০ তলা ফাউন্ডেশনের ২০ তলা ভবন নং-১ এর কিছু সিভিল এবং কিছু ই/এম ওয়ার্কসহ ৯২টি আইটেম সংগ্রহকালে পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে ৮,১২,৭৯,৯৫০ (আট কোটি বারো লাখ ঊনআশি হাজার নয়শত পঞ্চাশ) টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এমএ/এসএ/