বার কাউন্সিল নির্বাচন: আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
প্রার্থীরা হলেন—সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মোখলেছুর রহমান বাদল, শাহ মো. খসরুজ্জামান, শাহ মো. জিকরুল আহমেদ, মো. রবিউল আলম (বুদু) ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা)।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সাধারণ আসন ও অঞ্চলভিত্তিক প্রার্থীদের নামের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার বিকালে বার কাউন্সিলের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সদস্যরা।
অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপে— ঢাকা অঞ্চলের জন্য আবদুল বাতেন, ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য মো. জালাল উদ্দিন খান। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জন্য মোহাম্মদ মুজিবুল হক, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জন্য এ এফ এম রুহুল এনাম চৌধুরী (মিন্টু)।
খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর জন্য আনিস উদ্দিন আহমেদ শহীদ। রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়ার জন্য মো. ইকরামুল হক। দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর ও পাবনার জন্য মো. আবদুর রহমান।
মোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাধারণ আসনে সাতজন ও গ্রুপ আসনে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। গ্রুপ আসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের মধ্য থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণসহ বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতগুলোতে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
এর মধ্যে ‘এ’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ঢাকা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘বি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘সি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ডি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) কুমিল্লা ও সিলেট জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘ই’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, ‘এফ’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি এবং ‘জি’ গ্রুপে বৃহত্তর (পূর্ববর্তী) দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার অন্তর্গত সব স্থানীয় আইনজীবী সমিতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গেজেট অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল আগামী ৩০ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৩ এপ্রিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। নির্বাচনের ভোট ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।
কোনো প্রার্থী নির্বাচনের বিরুদ্ধে আপত্তি করতে চাইলে ফলাফল সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের দিন থেকে এক মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এজন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন সংক্রান্ত আপত্তি দরখাস্ত শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন— অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সবুর। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ১৪ জুলাই আপত্তিপত্র নেবে।
বার কাউন্সিলের নির্বাচনে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করার বিষয়টি সদস্য হিসেবে দায়িত্বে থাকা প্রসিকিউটর ও সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী নিশ্চিত করেছেন।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর আগস্টে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনায় ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
গঠিত কমিটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। চলতি বছরের ৩১ মে বা তার আগে বার কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচিত কমিটি আগামী ১ জুলাই দায়িত্বগ্রহণ করবে।
এমএ/এএস
