বাস থেকে ফেলে হত্যা: চালক-সহকারীর যাবজ্জীবন
বাস থেকে ফেলে একজনকে হত্যার দায়ে গাড়ির চালক আক্তার হোসেন ও সহকারী শওকত ওরফে সইক্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রায় দুই যুগ আগের ওই ঘটনায় করা মামলায় আজ রবিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় দেন।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রায় ২৩ বছর আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক পথচারীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় এই রায় দিয়েছে বিচারিক আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে আদালত। রায় শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে রায়হান নামে এক রিকশাচালকের রিকশায় ধাক্কা দেয় একটি মিনিবাস। এতে রিকশাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে চালক ও সহকারী রিকশাচালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তখন চালকের নির্দেশে সহকারী শওকত ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তুলে ও চালক বাসটি চালাতে শুরু করে। এরপর ৫-৬ গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।
এ ঘটনায় ওই দিনই মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক আলী আজম সিদ্দিকী একটি মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ১৬ অক্টোবর দুইজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহসিন।
পরে ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এমএ/এসএ/