পিতা হত্যা মামলায় পুত্র খালাস, পুনর্বিচারের নির্দেশ
পিতাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন এক পুত্র। উচ্চ আদালত ওই ছেলেকে খালাস দিয়েছেন। তবে মামলাটি পুনরায় বিচারের জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আট বছর আগে ২০১৪ সালে বাগেরহাটের মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামের ওই ঘয়নায় করা মামলার রায়ের ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ ২৭ মার্চ (রবিবার) এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
পরে আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ জানান, ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। ফলে একমাত্র আসামি তুহিন কাজী খালাস পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারের (রিট্রায়াল) জন্য পাঠিয়েছেন। মামলাটির ট্রায়ালে ভুল ছিল। এ মামলায় অন্য কোন সাক্ষী নেই।
আসামিকে ধরে নিয়ে এসে দোষ স্বীকার করিয়েছে। মারা গেছেন তার বাবা। তার চাচারা তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে বলছে তিনি তার বাবাকে মেরেছেন। কিন্তু কে মেরেছেন এটা তো কেউ দেখেনি। আর তুহিন মাঝেমধ্যে মেন্টালি আপসেট থাকতেন। সময় সময় তাকে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হতো। এসব বিষয়ে নিম্ন আদালত তাকে কোনো ধরনের পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়নি। যদি মস্তিষ্ক বিকৃত তাহলে খালাস পাবেন। আর ঠিক থাকলে রায় হবে। কিন্তু সেটা করা হয়নি।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোর চারটায় তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আবু সাঈদের মেয়ে সুমি আক্তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট বাগেরহাটের বিচারিক আদালত তুহিনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন।
এমএ/এমএমএ/