শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলবে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ওই মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই তথ্য দেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও সারা হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এই মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয় রোববার (১২ ডিসেম্বর)।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করে আদালত। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালান। শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিভিন্ন শ্রেণির জনগণকে উসকানি দেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এর মাধ্যমে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। শহিদুল আলম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
এমএ/এএস