ধর্ষণে জন্ম নেওয়া সন্তানের ব্যয় বহনের বিধি প্রণয়ন প্রশ্নে রুল
ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগীর (ভিকটিম) গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য বিধি প্রণয়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৬ মার্চ) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলটি জারি করেন।
রুলে ধর্ষণের কারণে জন্ম নেওয়া কুড়িগ্রামের এক শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান।
আদালতের আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, ২০১০ সালে কুড়িগ্রামে এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় থানা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভিকটিম আদালতে মামলা করলে দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২১ সালে এ মামলার রায় হয়।
ধর্ষণের কারণে ওই নারীর গর্ভে মামলা চলাকালীন অবস্থায় এক কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করে। আদালত আসামি খয়ের আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ওই শিশুর যাবতীয় ব্যয়ভার সরকারকে বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন হওয়ার ২২ বছর পরেও এ বিষয়ে কোনো বিধিমালা না থাকার কারণে শিশুর ব্যয়ভার সরকার বহন করেনি। উল্টো কুড়িগ্রামের ডিসি শিশুটিকে এতিমখানায় দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
এমএ/আরএ/