সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা আহতের ঘটনায় হাইকোর্টের রুল
সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতির ছেলের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের পা হারানোর অভিযোগের ঘটনায় আসামির নামে কেন মামলা হয়নি, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর বনানী এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন ইউলুপের ওই ঘটনার জেরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সঙ্গে ছিলেন মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
আদেশের পরে আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, গত ২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১৮ মিনিটে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিংয়ে একটি দুর্ঘটনায় মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন। ওই ঘটনায় তার একটি পা হারাতে হয়েছে। তিনি এখন বিকলাঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এ ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল। আমরা যেটা জানি সেটা হলো দুর্ঘটনার পরে মোটরসাইকেল ও যে প্রাইভেটকারের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে দুটোই থানায় নেওয়ার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক কোনো জিডি গ্রহণ করেনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর আসামির নাম ছাড়া মামলা করা হয়েছে। আমাদের কথা হলো আসামির নাম ছাড়া মামলা করতে মহুয়া হাজংকে বাধ্য করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে শুনানির সময় মহুয়া হাজংও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন ইউলুপে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পা হারিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে মনোরঞ্জন উল্টোপথে ইউলুপ পার হচ্ছিলেন।
মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেল ইউলুপ পেরিয়ে মূল রাস্তায় ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে একটি প্রাইভেটকার ইউলুপে প্রবেশ করতে গেলে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন মনোরঞ্জন। জানা যায়, গাড়িটি চালিয়েছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির ছেলে।
আরও পড়ুন>>
সার্জেন্ট মহুয়ার মামলা না নেওয়ার পেছনে প্রভাবশালীরা: এইচআরএফবি
এমএ/আরএ/