সয়াবিন তেলের দাম কমাতে শুধু ইনকোয়ারি করলেই চলবে না: হাইকোর্ট
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ইনকোয়ারি করে বসে না থেকে মনিটরিং সেলসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানিতে সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর (ডিএজি) প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তখন ডায়াসে দাঁড়িয়ে ডিএজি বলেন, ‘মাই লর্ড গতকালকেও মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের উৎপাদনে ভ্যাট প্রত্যাহারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’
তখন আদালত বলেন, ‘আপনি আমাদের দেখান যে, জোটবদ্ধের বিরুদ্ধে আপনারা কী করেছেন। আপনারা কী স্টেপ নিয়েছেন দেখান আমাদের। সেকশন ফিপটিনে অ্যাকশনের ব্যাপারে বলা আছে।’
তখন ডিএজি বলেন, ‘হটলাইন তৈরি করা আছে অভিযোগের ব্যাপারে।’
আদালত বলেন, ‘অনুসন্ধান করার জন্য ৫১-এ বলা আছে। ভোক্তা অধিকার আইনে বলা আছে; কিন্তু কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে সেটি দেখা যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার আইনে পাওয়ার দেওয়া আছে; কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন নেই। বাস্তবায়ন হলে জনসাধারণের এত ভোগান্তি হতো না।’
আদালত আরও বলেন, ‘ইনকোয়ারি করে বসে থাকলে চলবে না। ভোক্তা অধিকার আইনে শাস্তির বিষয়ে শক্ত কিছু নেই। আইনে বলেছে রুলস করার জন্য কিন্তু আপনারা করেন নাই।
গতকাল শুনানির এক পর্যায়ে আদালত রিটকারীদের বলেন, আমরা এমন একটি আদেশ দিতে চাই যেটি সারাদেশের সব মানুষের কাজে আসে। আপনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইনটিও ভালো করে দেখে আসুন। আমরা এমন রুল দিতে চাই যাতে করে দেশের সব মানুষের উপকারে আসে।’ ভোক্তা অধিকার আইনটি দুর্বল বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
গত ৩ মার্চ একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সয়াবিন তেল নিয়ে করা প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মুহিদুল কবির। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ না দিয়ে রিট করার পরামর্শ দেন।
গত ৬ মার্চ ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। পরদিন ৭ মার্চ সোমবার শুনানির শুরুতেই আদালত রিট আবেদনের বিভিন্ন সংশোধনের কথা বলেন। পয়েন্ট ধরে ধরে আইনজীবীকে সংশোধনের কথা বলেন আদালত। মনিটরিং সেল গঠনের নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন আদালত।
রিটকারীদের পক্ষে সেদিন মুহিদুল কবির আদালতকে বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো করায় আবেদনে ভুলত্রুটি হয়ে গেছে। পরে আদালত এ বিষয়ে সংশোধন করে পরদিন মঙ্গলবার আসতে বলেন। ৮ মার্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।’
রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরের দিকে শুনানির জন্য আবেদনটি তালিকায় আসে। এর আগে একটি সম্পূরক আবেদন দেন রিটকারী আইনজীবী মনির হোসেন।
এমএ/এসএ/