সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে সিইসির বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কারণে কার্যক্রম শুরু করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল দেন আদালত।
আদেশের পর গণমাধ্যমকে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে তাদের অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন রায় দেয়।’
‘সেই রায় ও আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথা সময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পরবর্তীতে গত বছরের ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। সে নোটিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই পরবর্তীতে ততকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদালত অবমাননার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।
এমএ/এমএমএ/