আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গত শুক্রবার বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে বাকবিতণ্ডাময় নাটকীয় বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার (১ মার্চ) পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি লেখেন, "আমেরিকার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কংগ্রেস এবং সকল আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ। বিশেষভাবে যুদ্ধের তিন বছর ধরে যে সমর্থন আমেরিকা আমাদের দিয়েছে, তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।" তিনি আরও যোগ করেন, "ইউক্রেনের জনগণ এই সমর্থনের জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে।"
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকার সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি জেলেনস্কির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। যদিও বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, তবুও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা ইউক্রেনবাসীরা প্রথমে শান্তি চাই। এটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ।"
We are very grateful to the United States for all the support. I’m thankful to President Trump, Congress for their bipartisan support, and American people. Ukrainians have always appreciated this support, especially during these three years of full-scale invasion. pic.twitter.com/Z9FlWjF101
— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (ZelenskyyUa) March 1, 2025
শুক্রবারের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এক পোস্টে দাবি করেন, "আমেরিকা শান্তি চাইলেও, জেলেনস্কি শান্তি চান না।"
বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন।"
তবে, জেলেনস্কি পোস্টে ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু না বলার চেষ্টা করেছেন, এবং আলোচনার রাস্তা খুলে রাখতে চেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আচরণ তার কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরই অংশ, যাতে ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখা সম্ভব হয়।
