মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোটের ধাক্কায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ যাত্রী এবং বাকি তিনজন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনী।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানিয়েছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন লঞ্চের কর্মী ও ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সাধারণ নাগরিক এবং তিন জন নৌবাহিনীর কর্মী ছিলেন।
এলিফ্যান্টা গুহার কাছেই লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চ, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু হয়।
দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি লঞ্চ আরব সাগরে ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত লঞ্চের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট পরে অনেক মানুষের ভিড়। লঞ্চের বেশির ভাগ অংশই তৎক্ষণে ডুবে গেছে। যে অংশটুকু পানির ওপরে রয়েছে, সেখানে আতঙ্কিত যাত্রীরা কোনো রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশেই একটি স্পিড-বোট এবং অপর দুই তরীতে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছিল একটি তুলনামূলক বড় আকারের জাহাজও। একে একে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী।
মুম্বাই শহরের অদূরেই আরব সাগরের বুকে এলিফ্যান্টা দ্বীপে রয়েছে পাহাড় কেটে তৈরি একগুচ্ছ গুহা। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের জন্য এটি মুম্বাইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও। এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার জন্য লঞ্চ পরিষেবা পাওয়া যায় মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে থেকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকেরাও এই লঞ্চগুলি ব্যবহার করেন।