বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বাড়বে

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বাড়বে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও স্থবির উৎপাদনশীলতা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ট্রেন্ড ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

সংস্থাটির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির অভিঘাত এখনো শ্রমবাজারে অনুভূত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী তরুণদের বেকারত্বের হার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থেকে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই এমন মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক বেশি, বিশেষ করে তরুণ নারীদের মধ্যে। তবে মহামারির পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার ২৯ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব শ্রেণির মানুষের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার প্রাক-মহামারি পর্যায়ে একই হারে ফেরত যাবে না, বরং এক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকবে। তবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তারপরও নারী-পুরুষের ব্যবধান থেকে যাচ্ছে, বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের জন্য এসব বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকারত্বের হার প্রাক-মহামারি স্তরের নিচে নেমে গেছে। তবে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বাড়বে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও স্থবির উৎপাদনশীলতা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি সত্ত্বেও শ্রমবাজার আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিস্থাপক ছিল। তবে নতুন নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এসব ঝুঁকি ও সংকট মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সামাজিক ন্যায্যতা প্রচেষ্টার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাস্তবতা কেবল পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝা যাবে না বলে মনে করছে আইলও। কারণ, শ্রমবাজারে নাজুক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আইএলওর অনুমান শ্রমবাজারের আভাস ও বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব উভয়ই খারাপ দিকে যাচ্ছে।

২০২৪ সালে অতিরিক্ত ২০ লাখ মানুষ বাজারে কাজ খুঁজবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জি-২০ভুক্ত বেশির ভাগ দেশেই মানুষের কর-পরবর্তী আয় কমেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান কমেছে, যে ক্ষতি দ্রুত পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে উচ্চ ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়ে গেছে। ২০২৩ সালে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে চাকরির জোগান চাহিদার ব্যবধানের হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ; নিম্ন-আয়ের দেশে যা ২০ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছে। একইভাবে ২০২৩ সালে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়বৈষম্যের বিষয়ে। ক্রয়ক্ষমতা সমতার সাপেক্ষে যাদের দৈনিক আয় ৩ দশমিক ৬৫ ডলার, অর্থাৎ যাদের মধ্যম সারির দরিদ্র বলা হয়, এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮৪ লাখ। মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়া সমষ্টিগত চাহিদা বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের হার স্থির থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে; ২০২৪ সালে যা ছিল বৈশ্বিক কর্মশক্তির প্রায় ৫৮ শতাংশ।

 

Header Ad
Header Ad

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারামুক্ত

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান।

মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কেএম আখতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা শামসুল আলম।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনসহ ৪৭ আসামির সবাইকে হাইকোর্ট খালাস দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জন কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন। হাইকোর্টের রায় কারাগারে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

এদিকে, মুক্তির খবর পেয়ে সকাল থেকেই ঈশ্বরদী থেকে গাড়িবহর নিয়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। মুক্তির পর নেতাদের ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করা হয় এবং স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ ওঠে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে ৪৭ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ও অন্যান্য অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৬০৭ জন এবং অন্যান্য মামলায় ১১৬৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে এখন পর্যন্ত দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি কার্তুজ, ২টি চাপাতি, ৬টি দারামদা, ১৩টি চাকুছোরা, ২টি কুড়াল, একটি করাত, ৩টি হাতুড়ি, ২টি প্লাস, ২টি বাটাল এবং ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ইংরেজি শব্দ ‘ডেভিল’ অর্থ শয়তান এবং ‘হান্ট’ অর্থ শিকার। অর্থাৎ, ‘ডেভিল হান্ট’ মানে শয়তান শিকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্য দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের দমন করা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগকে দায়ী করে। এ ঘটনার পরই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।

Header Ad
Header Ad

অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার ৯

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশজুড়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস। এর আগে সোমবার দিবাগত সারারাত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সাঈদ আহম্মেদ উৎস (২৫), তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শামসুজ্জামান (৪০), তিনি বাড়াদী ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আলমডাঙ্গা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৫), তিনি জামজামি ইউপি যুবলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি। আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া গ্রামের ইখতার আলী মণ্ডল ছেলে রেজাউল করিম (৩৭), তিনি ভাংবাড়িয়া ইউপি যুবলীগের সভাপতি।

দর্শনা থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), তিনি নেহালপুর ইউপি যুবলীগের সহ-সম্পাদক। কুন্দিপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন (৫৫), তিনি নেহালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। ডিহি কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান মণ্ডলের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৪৬), তিনি নেহালপুর ইউপি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক।

দামুড়হুদা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হাসান আলী (৪৪), তিনি দামুড়হুদা ইউপির ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি।

জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ড গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে রাশেদ মিয়া (৫০), তিনি আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে জেলার পাঁচটি থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারামুক্ত
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার ৯
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা
বিরামপুরে স্কাউটস সমাবেশ এর উদ্বোধন
আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না: ইশরাক হোসেন
ফিক্সিংয়ে জড়িত বাংলাদেশি স্পিনার সোহেলি আক্তার ৫ বছর নিষিদ্ধ
তালিকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বাদ পড়ছে: ইসি আনোয়ারুল
মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ
আমাদের এখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আছে, থাকবে: মমতা
টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ'র ওপর নম্বর কমালো কুবি প্রশাসন
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
আমির খানের লুকে পলক, নেট দুনিয়ায় ট্রল
৭ বছর পর চুরির মামলায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের দুই সাংবাদিক আসামি
আদানিকে চুক্তির ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ
সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর
অবশেষে সাক্ষাৎ হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির
৭ম হোস্টিং সামিট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি