কেনিয়ার খরায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মার্কিন ফার্স্টলেডি
কেনিয়ায় তীব্র খরায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলো সফর করেছেন মার্কিন ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আক্রান্ত এলাকাগুলোর মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এরপর ধনী দেশগুলোকে আফ্রিকার আক্রান্ত এসব অঞ্চল ও মানুষদের সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
রেকর্ড ভাঙা খরায় আক্রান্ত কেনিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দিকে আরও মনোযোগ ও মহত্বের আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে দেশ দুটিতে সফর শেষ করেন জিল বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র এই দুর্যোগে লাখ লাখ গবাদিপশু ও ফসলের ক্ষতি হওয়ায় জরুরি সাহাদ্য প্রদান করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির দক্ষিণে কেজিয়াদো কাউন্টিতে খরায় আক্রান্ত মানুষদের জন্য তৈরি সাহায্যকেন্দ্রে সাহায্য দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য দেশগুলোকে এই অঞ্চলের বৈশ্বিক সমস্যায় আক্রান্ত মানুষগুলোকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে হবে’।
জিল বাইডেন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখান ইউক্রেনে যুদ্ধ হচ্ছে। তুরস্কে ভূমিকম্প হয়েছে। আমি জানি, এগুলোতে প্রচুর পাল্টা মনোযোগ রয়েছে। তবে এখানে অবশ্যই নিরন্ন হয়ে মানুষগুলো পড়ে আছে। তাদের পাশে থাকতে হবে।’
বাইডেনের স্ত্রী তার মা-বাবার কাছ থেকে শুনেছেন যে, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের খাবার জোগাড় করতে চরম সংকটের মোকাবিলা করছেন ও পর পর ৫টি বৃষ্টিহীন মৌসুম কাটানোর পর সমাজের অধিপতিরা প্রয়োজনীয় খাবারের পানির উৎস ও যোগানে ব্যর্থ হয়েছেন।
কেনিয়াতে মার্কিন ফার্স্টলেডির সফরের একটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল এই অনাবৃষ্টি। তার আরও লক্ষ্য ছিল, খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সেই অঞ্চলগুলোতে কৃষিকাজের ব্যবস্থা করা। তবে কেনিয়া সফরকালে ৭১ বছরের এই কমিউনিটি কলেজ অধ্যাপক নারী ও তরুণ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন ও ১৯৯৮ সালে নাইবেরিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোমা হামলায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানান।
কেরিয়া সফরের আগে নামিবিয়া সফর করেন জিল বাইডেন। তার সফরের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, গেল বছর জো বাইডেন ওয়াশিংটনে যে কথা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে সবভাবে আছে, সেটিকে আফ্রিকান নেতাদের মাধ্যমে আরও পোক্ত করা।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর আফ্রিকা একটি নতুন কূটনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এরপর খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী-ই হয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রথম কর্মকর্তা, যিনি জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই মহাদেশ সফর করলেন।
নামিবিয়া সফরে জিল বাইডেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ ও অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে আফ্রিকান দেশগুলোতে আরও জোরালো ভূমিকায় সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
ওএফএস/