বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সের লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ১১৮ বছর বয়সে মারা যান।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যান্ডন একজন নারী সন্নাসী ছিলেন। জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের বিশ্ব অতিশতবর্ষী র্যাঙ্কিং লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, লুসিল র্যান্ডন ১৯০৪ সালে জন্ম নেন। বিশ্বের জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ছিলেন তিনি।
লুসিল র্যান্ডন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার দীর্ঘায়ুর রহস্য ‘শুধু প্রভুই জানেন’।
লুসিল র্যান্ডন ১৯৪৪ সালে সন্নাসী হন। তখন নিজের নাম পরিবর্তন করেন সিস্টার আন্দ্রে রাখেন। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর তিনি একটি নার্সিং হোমে থাকতেন। সেখানেই ঘুমের মধ্যে মঙ্গলবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
লুসিলের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জাপানের কেন তানাকা। তিনি ২০২২ সালে ১১৯ বছর বয়সে মারা যান। এরপর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখান এ ফরাসি নারী।
এদিকে লুসিল র্যান্ডন ১৯০৪ সালে যখন জন্ম নিয়েছিলেন সে বছর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আধুনিক শহর নিউইয়র্কে প্রথম সাবওয়ে চালু করা হয়েছিল। তার জন্মের আরও প্রায় এক দশক পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল।
লুসিল র্যান্ডন বেড়ে ওঠেছিলেন খ্রিস্টান প্রোটেসটান্ট পরিবারে। তার আরও তিন ভাই ছিল। ফ্রান্সের এলসে বসবাস করতেন তারা।
লুসিল যে নার্সিং হোমটিতে থাকতেন সেটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি প্রায়ই তার ভাইদের কথা বলতেন এবং ভাবতেন মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হবে।
সেই মুখপাত্র আরও জানান, লুসিল র্যান্ডন একবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন- তার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে নিরাপদে ফিরে আসা।
আরএ/