বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জর্দানে প্রভু যিশুর ধর্মীয় তীর্থস্থানে হাজারো দর্শনার্থী

জর্দানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত প্রভু যিশুর ব্যাপ্টিজমের তীর্থস্থানে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে।

শুক্রবার থেকে কোভিড-১৯ মহামারি রোগের প্রকোপ ও দুর্ভোগের পর থেকে এই খ্রিস্টানদের অন্যতম ধর্মীয় স্থানটি সকলের দর্শনের জন্য বন্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, জর্দান ধর্মীয়ভাবে তাদের তীর্থকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের আগমন ও দর্শন ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে দর্শনার্থীদের অবারিত আগমন ঘটছে।

‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’ জানিয়েছে, প্রভু যিশুর ধর্মীয়ভাবে দীক্ষাদানের বা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধমীয় রীতিতে দীক্ষা প্রদানের এই অত্যন্ত বিখ্যাত ও প্রচণ্ড প্রসিদ্ধ অবস্থিত ছিল প্রাচীন জর্দান নদীর পূর্ব তীরে। খ্রিস্ট গোষ্ঠীর এই অন্যতম প্রধান তীর্থস্থানটি গণতীর্থযাত্রীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ‘এই পবিত্র স্থানটি আবারও হতে পারে সম্মিলিত শান্তির অন্যতম কেন্দ্র যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা বেড়ে চলেছে।’

জর্দানের স্কাউট ছাত্ররা শানাইয়ের মতো বাদ্যযন্ত্র ব্যাগপাইপ বাজিয়ে আবার আসা তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন ও তাদের বিনোদন প্রদান করেছেন। তাদের সঙ্গে এসেছেন অনেক পর্যটকও।

ধর্মনিষ্ঠ খ্রিস্টানদের বিশ্বাস হলো, ‘জন দ্য ব্যাপটিস্ট এই স্থানেই যিশুকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাপ্রদান করেছেন। তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট জানায়, যিশুকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাদানের এই উৎসবটি এখানে জর্দান নদীটির পূর্ব তীরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জায়গাটি ‘বেথানি’ নামে বিখ্যাত।

আজকের জদানের বহুদূরে ছিল। আরবিতে এই জায়গাটি আছে ‘আল-মুঘাটস নামে’। খ্রিস্টানদের প্রধান তিনজন ধর্মযাজক ‘সেন্ট জন পল-২’, ‘পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্ট’ ও বতমান ‘পোপ ফ্রান্সিস’ তাদের পোপের দায়িত্বভারে এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় তীর্থস্থানে তীর্থযাত্রী হিসেব অংশগ্রহণ করেছেন ও ধর্মীয়ভাবে বিশুদ্ধ হয়েছেন ও অসংখ্য মানুষকে ধমীয় দীক্ষা প্রদান করেছেন। দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআচ অব জেরুসালেমও যিশুর ব্যাপ্টিজনের স্থানের মতো ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

জর্ডান’স ব্যাপ্টিজম সাইট কমিশনের মহাপরিচালক রুস্তম মুখজাইন এই পবিত্র ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন তীর্থকেন্দ্রের গুরুত্ব জানিয়েছেন, ‘যিশু খ্রিস্টের ব্যাপ্টিজমের তীর্থকেন্দ্রটি একটি বিশ্বের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্র বা ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এই তীর্থকেন্দ্র ধর্মের পাশাপাশি মানবতাকে উপস্থাপন, ধারণ, প্রচার ও প্রসার করে। আমরা জর্দানিরা যার জিম্মাদার।

বিশেষ যত্ন ও হাশেমি পরিবারটির জিম্মাদারি ছাড়া, এই পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে জর্দানের শাসক গোষ্ঠী, তাদের বতমান প্রধান মহামান্য রাজা আবদুল্লাহ-২’র আনুকূল্য ও নেতৃত্বদান বাদে কখনো আমাদের এই অর্জন সম্ভব হতো না। তাদের পরিবারের ভালোবাসা এবং আগ্রহ বাদে কখনো আমরা এই তীর্থস্থানটিকে রক্ষাও করতে পারতাম না। আমাদের কাছে সাম্প্রতিক কালে মানবেতিহাসের এই অনন্য অর্জনটিও আসতো না। আমরা এই তীর্থকেন্দ্রের উন্নয়ন ও প্রদর্শনের স্বক্ষমতা বাড়িয়েছি। বিশ্বের যেকোনো মানুষ এখন প্রভু যিশুর খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাদানের কেন্দ্রটি দেখতে, ঘুরতে ও প্রার্থনা করতে আসতে পারেন। জন ও যিশুর হেঁটে যাওয়া পথগুলোতে পবিত্র হতে পারেন।’

জন হলেন ‘জন দ্যা ব্যাপটিস্ট’ নামে ধর্মে বর্ণিত মানুষটি হলেন খ্রিস্টানদের। মুসলমানদের ইয়াহিয়া নামের নবী। খ্রিস্টান ধর্মে অধ্যুষিত দেশগুলোতে এবং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের কাছে জর্দান নদীর ধারে বাস করা এই নবীর বাসস্থানটি ‘দ্য সাইট অব যিশু’জ ব্যাপ্টিজম বাই জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ হিসেবে বিখ্যাত। ‘দ্য সাইট অব জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ নামে খ্যাত তার আবাস।

তবে তাদের আশেপাশে বছরের পর বছর, শতকের পর শতক ধরে-রোমান ও বাইজেনটাইন গির্জাগুলো, একটি মনাস্ট্রি বা খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের বাসস্থান, হামিট নামের গুহাগুলো যেগুলোতে তারা নির্জনে বাস বা তপস্যা করতেন, খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদানের বিখ্যাত কেন্দ্রগুলো বা সিঞ্চনের বারি গ্রহণের স্থানগুলো সবই একের পর এক ভূমিকম্পের পর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নানা মনুষ্যসৃষ্ট সংকটও আঘাত হেনেছে। বানের পানিতে ডুবেছে। ফলে যিশুর দীক্ষাদানের প্রধান এই কেন্দ্রস্থলটিই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

জর্দান ও ইসরাইল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে স্থাপিত ভূমি মাইনগুলো অপসারণ করার পর ২৫ বছর আগে এই পবিত্রতম তীর্থকেন্দ্রটিকে প্রত্নত্বিক আবিষ্কার ও খননের মাধ্যমে আবার ফিরে পাওয়ার কাজ শুরু হলো। এখন ‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’ও আবার তার ধর্মীয় এবং আনুষ্ঠানিক গৌরব ফিরে পেয়েছে।

এখন জর্দান পাশের এলাকাগুলোর উন্নয়ন করতে চায় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের আরও সেবা দান করতে এবং আরও আর্থিকভাবে সঙ্গতিময় হতে। ধর্মীয় কল্যাণের মধ্যে দেশটি তাদের প্রয়োজন অনুসারে থাকার ব্যবস্থা করতে কাজ করতে চায়। তবে সেজন্য প্রচুর তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।

১০৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’র আর্চবিশপ ও খ্রিস্টানদের পক্ষে কেন্দ্রটির পরিচালক ফাদার পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা বলেছেন, ‘প্রভু যিশুর খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদানের ধর্মীয় এই স্থানটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির খোঁজে প্রেরণা প্রদান করতে পারে ও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা এখানে বিভক্তি সবাইকে আলাদা করে দিয়েছে।’

আর্চবিশপ ফাদার পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা আরও বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই মধ্যপ্রাচ্যের সবখানে আমরা শত, শত উত্তেজনা, বিভক্তি, বাধা, রক্তপাত, আহত মানুষকে দেখেছি; যেভানে আমরা ভাবছি, আমাদের সকলের ও সব ধর্মের ভবিষ্যত বৈচিত্র্যতা ও ঐক্যবদ্ধতায় নিহিত রয়েছে।’

আর্চবিশপ পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা জানিয়েছেন, ‘আমাদের আশা হলো, এই পবিত্র স্থানটি সেই শান্তির একটি ছোট্ট উদাহরণ হতে পারে। যদি আমরা চাই, এখানে তা সম্ভব।’

জর্দানের আগত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বাসেল ইসতারা বলেছেন, ‘প্রার্থনা ও দীক্ষাগ্রহণের এই বিশেষ ও পবিত্র জায়গাটিতে বিশ্বের সকলে খ্রিস্টানদের পাশাপাশি আসবেন-আমরা তাদের স্বাগত জানাবো ও ভালোবাসব-এই কামনা রইল।’

ওএফএস/

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। মঙ্গলবার যে দিন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার, সেই দিনই এ হামলা চালাল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত, পূর্ব লেবাননের বালবেক, দক্ষিণ লেবানের বেন্ত জেবেইল, চাকরা, মধ্যাঞ্চলের আল বাস্তা ও বারবোর থেকে নিহত ও আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর লেবানন অভিযানের মধ্যেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশন আহ্বান করেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সেশনে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ অবশ্য সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে যুদ্ধবিরতির ‘আগ মুহূর্ত পর্যন্ত’ লেবাননে অভিযান জারি রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

মঙ্গলবার দুই মাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ। এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবানন থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে ইসরায়েল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে চলে যাবে। এছাড়া হিজবুল্লাহ সীমান্তে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের পুনরায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক। তবে আইডিএফের দাবি, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ও যোদ্ধা রয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।

বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ