চীনে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে
চীনে করোনার বিধি-নিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু লোক প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাংহাইয়ের রাস্তায় হাজার হাজার লোক অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া বেইজিং ও নানজিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করছেন।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উরুমকি শহরে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে করোনা প্রতিরোধে আরোপ করা বিধিনিষেধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি জনগণের। তবে এসব মৃত্যুর জন্য করোনার বিধিনিষেধ দায়ী নয় বলে দাবি করেছে চীনের কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে উরুমকির একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২১তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। পরে সেখান থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানান, ওই ভবনের বাসিন্দারা আগুন লাগার সময় দ্রুত বের হতে পারেননি কারণ একটা অংশ লকডাউনের আওতায় ছিল। যদিও নগর কর্মকর্তারা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন।
এ ঘটনার রেশ ধরে চীনের সাংহাইয়ের বাসিন্দারা শনিবার রাতে উরুমকি রাস্তায় জড়ো হন। এটি উরুমকির নামে নামকরণ করা হয়েছে। এসময় তারা নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন এবং রবিবার ভোর পর্যন্ত প্রতিবাদ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিবাদকারীরা চিৎকার করে বলছেন উরুমকি থেকে লকডাউন তুলে নিতে। জিনজিয়াং থেকে এমনকি পুরো চীন থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করার দাবি তাদের। এসময় বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করে দেশটির পুলিশ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে, জিরো কোভিড পলিসির কারণে চীন সবধরনের বিধিনিষেধ জারি রেখেছে দেশটিতে। শনিবারও চীনে রেকর্ড পরিমাণে, প্রায় ৪০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার জিনজিয়াং কর্মকর্তারা জানান, উরুমকিতে সোমবার থেকে গণপরিবহন চালু করা হবে। শহরটিতে ৪০ লাখ বাসিন্দা এখনো লকডাউনের আওতায় রয়েছে।
এসএন