বাইডেন-শি বৈঠক, প্রাধান্য পাবে যে ইস্যু
আগামী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সম্মেলনের মাধ্যমে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশের দুই নেতা।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রেসিডেন্ট শির মধ্যে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় তাইওয়ান ইস্যুটি প্রাধান্যের শীর্ষে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আভাস দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন এই দুই নেতা। এ সম্মেলনে বাইডেন ও শি মুখোমুখি হবেন। সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতা বৈঠক করবেন।
এমন একসময় চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হতে যাচ্ছে, যখন দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়ে পড়েছে। বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম সশরীরে বৈঠক করতে যাচ্ছেন শির সঙ্গে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, বালিতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। হোয়াইট হাউসের এ ঘোষণার পর একটি সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাইডেন।
বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক প্রসঙ্গে কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমরা তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা করব। আমি তার সঙ্গে আলোচনার সময় একটি রূপরেখা তৈরি করতে চাই। এতে আমাদের সর্বোচ্চ সীমা উল্লেখ থাকবে।’
দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবে কি না। তারা যদি সংঘাতে জড়িয়েও যায়, তাহলে কীভাবে তার সমাধান করতে হবে, তারও উত্তর সেখানে থাকবে, যোগ করেন বাইডেন।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। তবে চীনের এ দাবি নাকচ করে আসছে তাইওয়ান। তারা নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাইওয়ান ইস্যু বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ বছরের আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। চীনের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পেলোসির তাইওয়ান সফরে ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।
রাজনৈিতক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন-শির বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার শীতল সম্পর্কের কিছুটা অবসান হতে পারে।
এমএমএ/