আগামী সপ্তাহেই বাইডেন-শি বৈঠক, গুরুত্ব পাবে তাইওয়ান ইস্যু
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক হলেও তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈঠক হয়নি। তবে এবার তা হতে যাচ্ছে।
আগামী সপ্তাহেই এই দুই প্রভাবশালী নেতা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহুল প্রতীক্ষিত এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন পরাশক্তির এই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ধারণা করা হচ্ছে, এশিয়ায় চীনের আধিপত্য বিস্তার এবং বেইজিংয়ের তাইওয়ানকে নিজেদের দাবি করার কারণে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
আগামী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শি জিনপিং করোনা মহামারির কারণে দেশেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন এবং সম্প্রতি তিনি বিদেশ ভ্রমণ শুরু করেছেন। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জয় লাভের পর জো বাইডেন এক সপ্তাহের জন্য জলবায়ু সম্মেলন, আসিয়ান সম্মেলন ও জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর ও এশিয়া সফর শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন। প্রত্যেকের ‘রেড লাইন’ কত দূর, তা শি জিনপিংকে জানিয়ে দেবেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যেন পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ায়, সেকারণে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন। একই সঙ্গে তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন নীতির নড়চড় হবে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা এড়াতে চীনের সঙ্গে কাজ করা উচিত।
গত মাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে শি জিনপিং তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। চীনের ‘ভূ-খণ্ডে’ হস্তক্ষেপ করলে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এসএন