গুজরাটে সেতু দুর্ঘটনা: ঠিকাদারসহ গ্রেপ্তার ৯
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার একদিন পর নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওরেভা কোম্পানির কয়েকজন ম্যানেজার, সেতুর টিকিট কালেক্টর, সেতুর পুনঃসংস্কার করা ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন।
মোরবি পুলিশ প্রধান অশোক যাদব সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির।
অশোক যাদব বলেন, আমরা দোষীদের পালিয়ে যেতে দেব না, আমরা জড়িত কাউকে রেহাই দেব না।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়েরের পর আমরা নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে আছেন ওরেভা গ্রুপের দুই ম্যানেজার, দুইজন টিকিট কালেক্টর, দুইজন ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। গাফিলতির জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা, ৩০৮ ধারা এবং ১১৪ ধারায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় সবশেষ ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক।
অভিযোগ রয়েছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
সঙ্কীর্ণ সেতুটিতে রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেতুর উপর দাঁড়িয়ে অনেকেই লাফালাফি করছিলেন। এর পরেই নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।
সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গুজরাটের স্থানীয় নববর্ষ উপলক্ষে মেরামতের পর ২৬ অক্টোবর সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত মোরবির ঝুলন্ত এই সেতু ভারতের ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় রয়েছে।
আরএ/