ইউক্রেনের শস্যবাহী ‘প্রথম’ জাহাজ তুরস্কে
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি খাদ্য শস্য নিয়ে যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির পর এই প্রথম ইউক্রেনের শস্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্কের বসফরাস প্রণালীতে পৌঁছেছে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় সোমবার (১ আগস্ট) সকালে ‘রাজোনি’ নামের সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি ওডেসা থেকে লেবাননের ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানিয়েছে তুরস্ক ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু পণ্যবাহী জাহাজ যাত্রা করবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ ছিল। চুক্তির পর দু’দেশের জাহাজ চলাচল আবারও শুরু হলো। প্রথম জাহাজটি ২৬ হাজার টন শস্য বহন করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেন থেকে খাদ্যবাহী কোনো জাহাজে রাশিয়া আক্রমণ করবে না, তবে এসব জাহাজে করে ইউক্রেন যেন অস্ত্র না নিতে পারে তা নিশ্চিত করবে তুরস্ক।
ইউক্রেন সরকার বলছে, ওডেসা ও তার আশপাশের বন্দরগুলোতে আরও ১৬টি জাহাজ ৬০০,০০০ টন খাদ্য শস্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। এসব খাদ্যপণ্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেখানে সংকট রয়েছে সেখানে রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যশস্য রপ্তানির দিক থেকে ইউক্রেন রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে। সানফ্লাওয়ার তেলের ৪২ শতাংশ, ভুট্টার ১৬ শতাংশ এবং গমের ৯ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশটিতে। ইউক্রেনের গম সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়ার প্রথম তিনটি দেশের সারিতে রয়েছে মিশর, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ।
আরএ/