বরিস জনসনের পদত্যাগে মন ভালো নেই ইউক্রেনের
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়ান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন বরিসন। যুদ্ধ শুরুর পর তিনিই সবচেয়ে বেশি দুইবার কিয়েভ সফর করেন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে জনসনই সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ করেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সমালোচনাও চালিয়ে গেছেন তিনি।
সেই জনসনই এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের একের পর এক নেতা ও আইনপ্রণেতার পদত্যাগ ও নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জনসন। যদিও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জনসন।
জনসনের পদত্যাগের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত রাশিয়া। কিন্তু মন ভালো নেই ইউক্রেনের। জনসনের পদত্যাগে নাখোশ জেলেনস্কি প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জনসনের পদত্যাগের পর তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা সবাই দুঃখের সঙ্গে (জনসনের পদত্যাগের) খবরটি শুনেছি। শুধু আমি নই, পুরো ইউক্রেনীয় সমাজ আপনার প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।
ইউক্রেনের প্রতি গ্রেট ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে গ্রেট ব্রিটেনের সমর্থন সংরক্ষিত থাকবে, তবে আপনার (জনসন) ব্যক্তিগত নেতৃত্ব এবং ক্যারিশমা এটিকে বিশেষ করে তুলেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জনসনকে ইউক্রেনের সত্যিকারের বন্ধু বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি (জনসন) প্রথম বিশ্বনেতাদের মধ্যে ছিলেন যিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করেন, ইউক্রেনকে আত্মরক্ষা করতে এবং সহায়তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে জয়ী হতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এসজি/