কে হচ্ছেন বরিস জনসনের উত্তরসূরি?
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিস জনসন। একের পর এক দলীয় নেতাদের পদত্যাগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জনসন। এখন প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর আসনে কে বসতে যাচ্ছেন? এ তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি নাম।
ঋষি সুনাক
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক বরিস জনসনের উত্তরসূরি হওয়ার তালিকায় এগিয়ে আছেন। মঙ্গলবার রাতে নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করা সাবেক চ্যান্সেলরকে একসময় জনসনের সুস্পষ্ট উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু তার স্ত্রীর নন-ডোম ট্যাক্স স্ট্যাটাস প্রকাশ এবং লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় জরিমানার বিষয়গুলো সুনাকের খ্যাতি অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। তবে এরপরও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন তিনি।
সাজিদ জাভিদ
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৯ সালে সবশেষ নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এবার জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
লিজ ট্রাস
ঋষি সুনাক এবং সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ করার পর বরিস জনসনের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় প্রথম ছিলেন এবং প্রধান নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয় লিজ ট্রাসকে। তিনি গত সেপ্টেম্বর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পদত্যাগ করে জনসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দলকে শাসন চালিয়ে যেতে হবে।
জেরেমি হান্ট
সাবেক পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য সচিব জেরেমি হান্ট যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। তিনি ২০১৯ প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে ছিলেন এবং বরিস জনসনের পেছনে ছিলেন। ব্যাকবেঞ্চ থেকে ওয়েস্টমিনস্টারে একটি প্রভাবশালী উপস্থিতি রয়েছে তার। বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
মাইকেল গভ
সাবেক লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গভ এর আগে দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। সাবেক বিবিসি সাংবাদিক এবং টাইমস পত্রিকার কলামিস্ট মন্ত্রিসভায় দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। কিন্তু বুধবার রাতে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং সাপ অ্যাখ্যা দেওয়া হয়।
নাদিম জাহাবী
যুক্তরাজ্যের বর্তমান চ্যান্সেলর নাদিম জাহাবী করোনা মহামারিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে দারুণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার জেরে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সফল রোলআউটের জন্যও তিনি কৃতিত্ব অর্জন করেন। ঋষি সুনাকের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে চ্যান্সেলর হওয়ার আগে তিনি শিক্ষা সচিব ছিলেন।
বেন ওয়ালেস
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় দারুণ ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাজ্য অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তার ঘোষণা দেওয়ার পর চারদিক থেকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে উপরের দিকেই আছেন তিনি।
এসজি/