বরিস জনসনের পদত্যাগ
ফাইল ছবি
দলের একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে চাপের মুখে অবশেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাদের একের পর এক পদত্যাগের কারণে অনেকটাই ভেঙে পড়ে জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার। শেষ পর্যন্ত দলের নেতাদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এসময় জনসন বলেন, এখন থেকেই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই সময়ে নতুন একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। আজ থেকে এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গত দুইদিনে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ৪০ মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করেন। গত ২ ঘণ্টায় জনসনের সরকারের অন্তত ৮ মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এর পরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে কথা বলেন জনসন। এবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনাকালীন সময়ে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন জনসন। করোনা সংক্রমণের সময় তার এমন কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এ নিয়ে গত মাসে জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অনাস্থা ভোটে রক্ষা পান তিনি। তবে এবার নিজ দলের সদস্যের চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
এসজি/