পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন
ফাইল ছবি
নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এবং দলের একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগের পর এবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরে দাঁড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।
গত দুইদিনে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ৪০ মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে বরিস জনসন নিজ রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। অন্যদিকে দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জনসন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পদত্যাগ করবেন বরিস জনসন। তবে আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি। চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ দলীয় সম্মেলনে দলের নেতারা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। এর ফলে অক্টোবরে নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
রয়টার্স বলছে, দলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সদ্য নিযুক্ত মন্ত্রীরাও জনসনকে ছেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে তার নেতৃত্বাধীন সরকার। গত ২ ঘণ্টায় জনসনের সরকারের অন্তত ৮ মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে ৪০ জনের বেশি সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বলেছে, জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির থেকে সাক্ষাৎ করেছেন। অক্টোবরে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে সম্মতি জানিয়েছেন জনসন।
প্রসঙ্গত, করোনাকালীন সময়ে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন জনসন। করোনা সংক্রমণের সময় তার এমন কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এ নিয়ে গত মাসে জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অনাস্থা ভোটে রক্ষা পান তিনি। তবে এবার নিজ দলের সদস্যের চাপের মুখে পড়েছেন তিনি।
এসজি/