রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
নিজের সকল কমান্ডার এবং প্রধান কর্মকর্তাদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকা এবং রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং দেশটির চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
একই সঙ্গে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)–এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদেরও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পিটিআই নেতাদের অভিযোগ, আসন্ন পাঞ্জাব উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিটিআইকে বেকায়দায় ফেলতে আইএসআই কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে জড়িত।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো এসব অভিযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, আইএসআই লাহোর সেক্টর কমান্ডারের বিরুদ্ধে পিটিআই নেতারা বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন। তবে তিনি পেশাগত কাজের জন্য ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে তিনি লাহোরে নেই। ইসলামাবাদে রয়েছেন তিনি।
পিটিআই নেতা এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইয়াসমিন রশিদ সম্প্রতি এই আইএসআই কমান্ডারের নাম উল্লেখ করে তাকে পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে কারচুপি করার জন্য রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।
এর আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি অভিযোগ করেছিলেন, পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনকে প্রভাবিত করতে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তার কিছু প্রার্থী অচেনা নম্বর থেকে ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দলের নেতা-কর্মীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ইমরান খানের।
দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলছে, নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করার পরিবর্তে পিটিআইয়ের উচিত উপযুক্ত প্রমাণ দেখানো। সূত্রগুলো দাবি করেছে, যদি সামান্য প্রমাণও দেওয়া হয় তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়েক মাস আগে দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কর্মীদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এসজি/