যুক্তরাষ্ট্রে ফের পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে ফের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু নিয়ে ওহাইও অঙ্গরাজ্য গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে রবিবার (৩ জুলাই) রাতে উত্তর-পূর্ব আমেরিকার অ্যাক্রনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আমেরিকার ওহাইও প্রদেশ আগামীকাল সোমবার (৪ জুলাই) একটি বড় মাপের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছেন অ্যাক্রনের বাসিন্দারা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ও মেয়র।
অ্যাক্রন পুলিশের দাবি, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। পুলিশ সেটির পিছু নেয়। চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলে তারা।কিন্তু গাড়ির ভিতর থেকেই এক বার গুলি ছোড়েন চালক। তারপরে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন।
পুলিশের বিবৃতি অনুয়ায়ী, পালানোর সময়ে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল ফের গুলি চালাতে পারে। তাই আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই। ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৫ বছর বয়সী জেল্যান্ড ওয়াকার।
এদিকে ওয়াকার যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বা পরেও গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিল তা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়নি। তার সঙ্গে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, সে বিষয়েও পুলিশ নীরব। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে তাকে হত্যা করা হলো কেন?
জেল্যান্ড পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবি করেছেন, পুলিশ প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০টি জেল্যান্ডের শরীর ফুঁড়ে গেছে। অসংখ্য গুলিতে যুবকটির মুখমণ্ডলও ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল।
তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানান, পেশায় ডেলিভারি বয় ছিলেন। তিনি শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের ছিল।
এই ঘটনার পরে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় শহরের পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে বাড়তি কাঁটা তার ও ব্যারিকেড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে পুলিশ কমিশনার স্টিভ মাইলেট বলেছেন, ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। একই বার্তা দিয়েছেন মেয়র ড্যান হরিগ্যানও।
এসআইএইচ