খেরসন পুনরুদ্ধারে বাসিন্দাদের উল্লাস
ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর খেরসন রাশিয়ার দখল থেকে পুনরুদ্ধার করেছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। এদিকে ঘটনার পরপর সেখানকার বাসিন্দারা উল্লাস করতে থাকে। তারা ইউক্রেনের সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির শনিবারের (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খেরসনের বাসিন্দারা অদম্য উল্লাস প্রকাশ করতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ইউক্রেনের পতাকা উড়ান। কিয়েভের সেনাসদস্যদের আসতে দেখে জয়ধ্বনি দিতে দেখা যায় বাসিন্দাদের।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর খেরসনই একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যেটি রাশিয়া দখল করেছিল। খেরসনের পুনরুদ্ধারের ঘটনা এই যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে খারাপ অবস্থানের বড় উদাহরণ।
মস্কো জানায়, ৩০ হাজার সেনা সদস্য, ৫ হাজার সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ও অন্যান্য সম্পদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এই এলাকা থেকে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় নিপ্রো নদীর দিকে সৈন্যদের পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারের একটি ছবির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৈন্যদের একত্রিত হয়ে অ্যান্টোনিভস্কি সেতু পার হতে দেখা যায়। খৈরসন দখলাকারী রুশ সৈন্যদের নদীটির পূর্ব দিকে অবস্থান নিতে দেখো গেছে।
এদিকে খেরসনের অধিবাসীদের রাস্তায় নেচে-গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সেখানকার বাসিন্দা অ্যালেক্সি স্যান্ডাকভ বিবিসিকে বলেন, খেরসন এখন মুক্ত। এটা আলাদা। আজ সকাল থেকে সবাই কাঁদছে। তিনি আরও বলেন, এখানে আসা ইউক্রেন সৈন্যদের সবাই আলিঙ্গন করতে চেয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণের কারণে শহরটির নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তন হয়েছে। সে সময় বলেছিল, খেরসনের কাছে ৪১টি বসতি পুনর্দখল করেছে তারা।
এ ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, খেরসন আমাদের শহর ছিল। খেরসনের বাসিন্দারা অপেক্ষা করছিলেন এই দিনের। তারা কখনোই ইউক্রেনকে ত্যাগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, খেরসনের বাসিন্দারা রাশিয়ান প্রতীকসহ রাস্তা থেকে দখলকারীদের অবস্থানের সব চিহ্ন মুছে দিতে কাজ করছে।
যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মুখপাত্র এটাকে তাদের অপমানজনক পরাজয় বলতে অস্বীকার করেছেন।
এসএন