সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কীভাবে শেষ হতে পারে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ?

যুদ্ধের দামামা চারিদিকে, গোলা আর বারুদের গন্ধ। এসবের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন ইউক্রেনবাসী। দিন গুনছেন আগ্রাসনের সমাপ্তির। হাজার হাজর মানুষ প্রাণভয়ে ছেড়েছেন নিজ ভূমি। রণভূমি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, নানা জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে এখন একটাই ভাবনা এ যুদ্ধের অবসান কোথায়? কীভাবে থামানো যাবে রুশ আগ্রাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ভূমিকা রাখতে পারে সম্ভাব্য এমন পাঁচটি বিষয় নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করেছেন বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস ল্যান্ডেল।

সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ:

ধরে নেওয়া যাক যুদ্ধ খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। যদি তাই হয়, তাহলে রাশিয়া তার সামরিক অভিযান বাড়াবে। ইতিমধ্যে আমার সেটা দেখতে পাচ্ছি। ইউক্রেন জুড়ে নির্বিচারে কামান এবং রকেট হামলা চলছে। রাশিয়ান বিমান বাহিনী এখনও পর্যন্ত ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করেনি। তবে ইউক্রেনের জাতীয় অবকাঠামতে ব্যাপক সাইবার আক্রমণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। বেশ শক্ত প্রতিরোধ সত্ত্বেও কিয়েভের পতন হলে ইউক্রেনে মস্কোপন্থী একটি পুতুল শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলেনস্কিকে হয় হত্যা করা হবে, নয়তো সে পালিয়ে যাবে। পুতিন বিজয় ঘোষণা করবেন, রুশ বাহিনীর কিছু অংশও প্রত্যাহার করবেন। হাজার হাজার উদ্বাস্তু পশ্চিমে পালাতে থাকবে। আর ইউক্রেন বেলারুশের মতো মস্কোর সহযোগী রাষ্ট্র হিসাবে রয়ে যাবে।

এমন কিছু ঘটা অসম্ভব নয়, তবে তা নির্ভর করবে আরও কয়েকটি বিষয়ের ওপর। যেমন, রাশিয়ান বাহিনী আরও জোরাল পারফরম্যান্স। ইউক্রেনের লড়াই করার মনোবল ভেঙ্গে যাওয়া। পশ্চিমাদেশগুলো কিয়েভের সমর্থন থেকে সরে গেলে, পুতিনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে রাশিয়াপন্থী সকার প্রতিষ্ঠা হলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হবে, যা বিদ্রোহে রুপ নেবে। ফলাফল হিসেবে আস্থিতিশীল এবং সংঘাত পূর্ণ একটি পরিবেশ বিরাজ করবে। 

দীর্ঘ যুদ্ধ:

এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হতে পারে অপর্যাপ্ত রসদ এবং অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে রুশ বাহিনীর মনোবল দুর্বল হয়ে পড়লো। কিয়েভের মতো শহরগুলিকে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে আরও সময় লেগে গেল। ৯০ এর দশকে যেমনটি ঘটেছিল চেচনিয়ায়। চেচনিয়ার রাজধানী গ্র্রজনি দখল ছিল রাশিয়ার দীর্ঘ এবং নৃশংস সংগ্রাম, যার প্রতিচ্ছবি ইউক্রেনে রয়েছে।

ধরে নিলাম রাশিয়া বাহিনী ইউক্রেনের কিছু শহরের দখল নিল। তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল। তবে এত বিশাল দেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন করতে পারলো না। এদিকে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে একটি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হলো। সেখানে পশ্চিমারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকলো। অবশেষে বেশ কয়েক বছর পর রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেন ছেড়ে চলে গেল। সেই ৯০ এর দশকের মতো, এক দশক যুদ্ধ করার পর সোভিয়েত ইউনিয়নকে যেভাবে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছিল।

ইউরোপের যুদ্ধ: 

এ যুদ্ধ কি ইউক্রেনের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে? মোলদোভা এবং জর্জিয়ার মতো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ কি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন পুতিন? যারা ন্যাটোর অংশ নয়। অথবা পুতিন হিসাবে ভুল করে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের আস্ত্র সরবারহকে আগ্রাসন ভেবে নিতে পারেন। আর এর প্রতিউত্তরে বালটিক রাজ্যেগুলোর মধ্যে লিথুনিয়াতে সৈন্য পাঠানোর হুমকি দিতে পারে? যেহেতু বাল্টিক ন্যাটোর সদস্য। আর রাশিয়া বাল্টিকের নিয়ন্ত্রণ নিলে উপকূলীয় ছিটমহল কালিনিনগ্রাদকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

আর এখানে যুদ্ধ ন্যাটো বাহিনীর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভয়ঙ্কর হতে পারে। ন্যাটো সামরিক জোটের সনদের ৫ অনুচ্ছেদে অনুসারে ন্যাটোর একজন সদস্যের ওপর হামলা মানে সবার ওপর হামলা। তবে পুতিন তার নেতৃত্বকে বাঁচাতে এ ঝুঁকি নিতে পারেন, যদি তিনি ইউক্রেনে পরাজিত হন। ইউক্রেনে পরাজয় পুতিনকে ইউরোপে যুদ্ধের মদদ দিতে পারে। রাশিয়ান নেতা আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারে। পুতিন তার পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ স্তরের সতর্কতার মধ্যে রেখেছেন। বিশ্লেষকদের ধারনা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার আসন্ন। 

কূটনৈতিক সমাধান: 

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কি কূটনৈতিক সমাধান হতে পারে? জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বন্দুক এখন কথা বলছে, কিন্তু সংলাপের পথ সবসময় খোলা থাকতে হবে। সংলাপ কিন্তু চলছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ফোনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কূটনীতিকরা বলছেন, রাশিয়ান এবং ইউক্রেন কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে আলোচনার জন্য বসেছেন। আলোচনা খুব বেশিদূর এগোয়নি। কিন্তু আলোচনায় রাজি হয়েছেন পুতিন। অর্থাৎ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে একেবারে নাকোচ করেননি পুতিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন কোথায় থামতে হবে ভ্লাদিমির পুতিন জানেন। রুশ নেতা জানেন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে কোন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

একটি কাল্পনিক দৃশ্য, ধরুন যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনল। নিষেধাজ্ঞার ফলে মস্কোতে অস্থির অবস্থা শুরু হলো। পুতিন হয়তো ভাবছেন যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার লজ্জার চেয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া তার নেতৃত্বের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। এদিকে চীন হয়তো আপোষের জন্য মস্কোকে চাপ দিতে থাকল। আগ্রাসন থেকে সরে না আসলে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনবে না চীন। তাই পুতিন একটি উপায় খুঁজতে শুরু করলেন। অন্যদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ধ্বংস, প্রাণহানির চেয়ে রাজনৈতিক সমঝোতাকে এ যুদ্ধের অবসানে যথোপযুক্ত সমাধানের পথ হিসেবে বিবেচনা করল। তাই কূটনীতিকরা যুক্ত হলেন একটি চুক্তির জন্য। চুক্তিতে ইউক্রেন ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের কিছু অংশের উপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিল। এর পরিবর্তে পুতিন ইউক্রেনের স্বাধীনতা এবং ইউরোপের সাথে ইউক্রেনে সম্পর্ক গভীর করার বিষয় অর্থাৎ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেবে। এমনটি হয়তো ঘটবে না। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ধ্বংসাবশেষ থেকে বাঁচতে এমন একটি সম্ভবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া য়ায় না। 

পুতিন ক্ষমতাচ্যুত:

আক্রমণের সময় ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, 'আমরা যেকোনো ফলাফলের জন্য প্রস্তুত।' যদি এমন হয় যে পুতিন ক্ষমতা হারাচ্ছেন! এটা অকল্পনীয় হতে পরে কিন্তু এমনটা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।

লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক লরেন্স ফ্রিডম্যান তার এক লেখায় বলেছেন, 'এখন কিয়েভের মতো মস্কোতেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

কেন তিনি একথা বললেন? সম্ভবত পুতিন একটি বিপর্যয়কর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার রুশ সৈন্য মারা যেতে পারে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আরও বিপর্যস্ত হতে পারে রাশিয়া। ফলে জনসমর্থন হারালেন পুতিন। তার জনপ্রিয়তা কমে গেল। দেশের অভ্যন্তরে পুতিন বিরোধী বিদ্রোহ শুরু হলো আর সেই বিরোধিতাকে দমন করতে তিনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেন। ফলে রাশিয়ার সামরিক, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক শক্তি তার বিরুদ্ধে চলে গেল। এদিকে পশ্চিমারা যদি প্রস্তাব দেয় যে, পুতিন সরে গেলে তার পরিবর্তে কোনো মধ্যপন্থী নেতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। ফলে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুতিন ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এমনটি হতে পারে এটা মনে হচ্ছে না?

উপসংহারে এটা বলা যায় যে, পরিস্থিতি যাই ঘটুক তার পেছনে অনুঘটক গুলোই নিয়ে যাবে কোন একদিকে। যা এখনও নিশ্চত নয়। পরিস্থিতি নির্ধারন করবেন পুতিন নাকি পশ্চিমা পরাশক্তি? দুই পরাশক্তি কিভাবে পৌঁছাবে সমাধানে?

কেএফ/

 

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার