রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের বৈঠকের খবর 'স্পষ্টভাবে' নাকচ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন, যা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠক নিয়ে রিপোর্ট করেছে, তবে তা 'স্পষ্টভাবে' প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে এই খবর প্রকাশ করায় ইরান বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

গত বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গত সোমবার বৈঠক করেছেন।

Header Ad

পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮

ছবি: সংগৃহীত

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের ইক্সিং শহরে এক সাবেক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে ৮ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উক্সিং ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ২১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি বছর তার স্নাতক সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই নৃশংস কাণ্ড ঘটান। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

উক্সিং ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রায় ১২,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি সাংহাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে শিল্প, নকশা, সিরামিক, ও ফ্যাশনসহ নানা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।

ইক্সিং শহরের পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় জরুরি সেবা চালু রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

চীনে কঠোর বন্দুক আইন এবং ব্যাপক নজরদারির কারণে সাধারণত সহিংস অপরাধের হার কম। তবে, সম্প্রতি ছুরিকাঘাত ও অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে, ঝুহাই শহরে এক ব্যক্তি তার গাড়ি চালিয়ে ভিড়ের ওপর আছড়ে পড়লে ৩৫ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি বড় সহিংস ঘটনায় চীনের নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ কেউ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। অন্যরা সমাজে বাড়তে থাকা ধনী-গরিব বৈষম্য এবং কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের কারণে হতাশার মাত্রা বাড়ছে বলে মত দিয়েছেন।

এই ঘটনাগুলো চীনের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি জরুরি।

Header Ad

মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী । ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মহান এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ তার ভক্ত ও মুরিদানবৃন্দ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

মাওলানা ভাসানী ছিলেন শোষিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অবিচল অধিকার রক্ষাকারী। জাতীয় সংকটের মুহূর্তে জনগণের পাশে থেকে তাদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতেন। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করেও কখনো ক্ষমতার মোহে আবিষ্ট হননি। সাধারণ জীবনযাপন এবং সাদাসিধে ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি এ দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

শোষণমুক্ত, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার অবদান বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ এবং মুক্তির সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মাওলানা ভাসানী তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর-যৌবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল থেকে তার মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। ইতোমধ্যেই তার ভক্ত ও মুরিদানবৃন্দ সন্তোষে এসে জড়ো হয়েছেন। এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে, যা স্থানীয় বাসিন্দা এবং ভক্তদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে।

মাওলানা ভাসানীর মতো নেতার জীবন ও কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে তার আদর্শ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

Header Ad

উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে শীতের আগমন অনেক আগে থেকেই টের পাওয়া যায়। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়ের জনপদ যেন শীতের আগমনী বার্তায় সিক্ত।

রবিবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার ধারা নিম্নমুখী। সামনের দিনগুলোতে এই তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

সকালের সূর্য ওঠার পরেও ঘন কুয়াশার কারণে উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। হিম বাতাস আর শিশিরে শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি যেন শীতের আগমনী পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দু সূর্যের আলোয় ঝলমল করে উঠছে।

স্থানীয়দের মতে, সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল হাওয়ার দাপট বাড়ছে। রাতে কাঁথা-মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। বরফে ঢাকা হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় এবং এর আশেপাশের এলাকায় শীতের প্রভাব বেশি। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে শীতের প্রকোপ চরমে থাকে।

শীতের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। শীতের আগমনের দু-এক মাস আগে থেকেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে বাজারে শীতের কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। দোকানে দোকানে নতুন শীতের পোশাক তোলার কাজ চলছে।

এদিকে, কৃষকরাও শীতকে উপেক্ষা করে ধানক্ষেতে কাজ করছেন। মাঠে শিশির ভেজা প্রকৃতি আর হিমেল বাতাসের মধ্যেই তারা তাদের দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করছেন। প্রকৃতির এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতাও দিন দিন বাড়ছে।

পঞ্চগড়ের শীত শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন প্রস্তুতির বার্তা। শীতের সকালের এই পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি শীত মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নতুন প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ
পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৭ সেনা নিহত
বাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
গণঅভ্যুত্থানে আহত কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে
বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’
মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের রোমাঞ্চকর জয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা
এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল