গাজা নিয়ে গবেষণার প্রস্তাব দেওয়ায় অধ্যাপককে বরখাস্ত
বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপক অ্যান ডি'অ্যাকুইনো। ছবি : সংগৃহীত
গাজা গণহত্যার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করার প্রস্তাব দেয়ায় এক মার্কিন অধ্যাপককে বরখাস্ত করার ঘটনা ঘটেছে। ওই অধ্যাপক আমেরিকার শিকাগো অঙ্গরাজ্যের ডি পল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করতেন।
এই নারী অধ্যাপক অ্যান ডি'অ্যাকুইনোকে গত মাস থেকে ওইই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগে পড়াতে নিষেধ করা হয়। পার্সটুডে'র প্রতিবদেন অনুসারে, অ্যান ডি'অ্যাকুইনো গত মাসে একটি ঐচ্ছিক অ্যাসাইনমেন্ট উপস্থাপন করেছিলেন যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মানব স্বাস্থ্য এবং জীববিজ্ঞানের ওপর গাজার গণহত্যার প্রভাব নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলেছিলেন।
কয়েকদিন আগে ডি'অ্যাকুইনো একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এই বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমাকে বরখাস্ত করা একাডেমিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে যেকোনো আলোচনাকে ইহুদি-বিরোধী মিথ্যা দাবিতে পরিণত করার এই প্রশাসনের প্রচেষ্টার আরেকটি উদাহরণ।’
এই অধ্যাপককে সমর্থন করতে প্রায় ৫০ জন লোক দি পল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে জড়ো হন। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়ছিলেন এবং তাদের হাতে বহন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘একাডেমিক স্বাধীনতা ফিলিস্তিন অন্তর্ভুক্ত।’
এদিকে, শিক্ষার্থীরা দি পল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়ে মিসেস ডি'অ্যাকুইনোর প্রত্যাবর্তনের দাবিতে একটি আবেদন জানাযন। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উপস্থাপিত পিটিশনে ১,৫০০টিরও বেশি স্বাক্ষর রয়েছে। ডি'অ্যাকুইনো ক্লাসে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি আপিল দায়ের করেছিলেন এবং কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট জবাব পাননি। সূত্র: পার্সটুডে, এপি